১৮ জানুয়ারী ১৯৯৮
কুদুকছড়িতে সচক্রের সন্ধানীরা আক্রমণ করতে এলে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষ বাধে। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। জনতার রোগ দেখে ভয়ে আতঙ্কিত সচক্রের সাথে যোগসাধীকারী অশ্বিনী কুমার চাকমা পাড়া থেকে স্থানীয় সেনাক্যাম্পে দৌড়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন তাকে সেনা ক্যাম্পের দশ গজের মধ্যে গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থাে
৫- ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮
পাহাড়ী গণ পরিষদ, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশানের যৌথ উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক পার্টি প্রস্তুতি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আত্মপ্রকাশ ঘটে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। কমিটির প্রধান হলেন অসিত বসা এবং অন্যান্য সদস্যরা হলেন রবি শংকর চাকমা, ধ্রুবজ্যোতি ডাকমা, সবায় চাকমা ও দীপ্তি শংকর চাকমা।
১৯ জানুয়ারি ১৯৯৯
মাইসছড়ি ইউপি শাখার ৪র্থ সম্মেলন ও কাউন্সিল মাইসছড়ি স্কুল মাঠে সম্পন্ন হয়। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন নিকালো চাকমা।
২৪ জানুয়ারি ১৯৯৯
পিসিপি লক্ষ্মীছড়ি থানা শাখার ৫ম কাউন্সিল বানচালের জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলে শত শত ছাত্র জনতা তা লংঘন করে। সুষ্ঠুভাবে কাউন্সিল সম্পন্ন হয়। লক্ষহতি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৫ আগস্ট ১৯৯৯
পিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কাউন্সিল। স্থান বৃষ্টি ফাউন্ডেশন মিলনায়তন। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা সৌমিত্র চাকমা। বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ আহবায়ক কমিটির সদস্য ধ্রুবজ্যোতি চাকমা ও সঞ্চয় চাকমা, শিজিপি কেন্দ্রীয় পুনর্গঠন কমিটির সদস্য দীপায়ন খীসা, কাচাই মারমা ছোটমণি চাকমা। সংহতি বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ভোট চ অঞ্চলের সমন্বয়ক করিম আল্লাহ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহসভাপতি আমীর আব্বাস তালু।
২০ আগষ্ট ১৯৯৯
সীঘিনালায় ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ভারত প্রত্যাগত মুখ শরণার্থীদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে এক প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে।
২৩ আগষ্ট ১৯৯৯
দীঘিনালার সুস্থ শরণার্থীদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক সুপরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা বাধানোর প্রতিবাদে ঢাকার পিলিপি এইচডব্লিউএফ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
২৬ আগস্ট ১৯৯৯
বান্দরবান জেলা শাখা এ বালাঘাটা কমিটির উদ্যোগে লাল রিজার বমের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বালাঘাটায় এক স্মরণ সভার আযোজন করা হয়। খোয়াইসাং মারমা এতে সভাপতিত্ব করেন।
৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯
রাঙ্গামটির বাঘাইছড়ি থানায় সার্বোতলী ইউনিয়নে পাকুয়াখালি গ্রাম থেকে বে-আইনী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা রমণী মোহন চাকমা ও চাবেনা চাকমা হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯
জেএসএস-এর মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র ও বাধাদান সত্ত্বেও পিসিপি জুবাছড়ি থানা শাখা গঠিত হয়। পিসিপি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাড়া গ্রাম থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। প্রিয়তম চাকমা সভাপতি, প্রীতি বিকাশ চাকমা সাধারণ সম্পাদক ও রূপ কুমার চাকমা সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১ অক্টোবর ১৯৯৯
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কুমিল্লা শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষণার্থী পুলক জ্যোতি চাকমা।
১৩ অক্টোবর ১৯৯৯
ইউপিডিএফ ভুক্ত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও দেশের বাম প্রগতিশীল ছ সংগঠন সমূহের ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। দেশের সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাহাড়ী কোটা বৃদ্ধি, মেডিক্যাল-ডেন্টাল ও কৃষি কলেজ ও বিআইটি সমূহে কোটার ক্ষেত্রে সামরিক নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করে মেধা অনুসারে ভর্তির সুযোগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে খুলে দেয়া, বর্ধিত সকল ফি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠা শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি বন্ধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিহ্নিত ৬০ সন্ত্রাসীসহ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
১৬ অক্টোবর ১৯৯৯
বাবুছড়া বাজারে দিনে দুপুরে সুরলতা চাকমা নামে ১৬ বছরের এক কিশোরীর সাথে এক সেনা সদস্য অশালীন আচরণ করে। উপস্থিত লোকজন এর প্রতিবাদ জানায় এবং উক্ত সেনাসদস্যটি উদ্ধত আচরণ করলে তাকে গণধোলাই দেয়। পরে সেনাসদস্যরা বহিরাগতদের নিয়ে বাজারে আসা সাধারণ পাহাড়ীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এতে চার ব্যক্তি নিহত ও শতাধিক আহত হন। পাহাড়ীদের ৩৫টি দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। মালামাল কেড়ে নেয়া হয়। বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে এক বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়েও হামলা চালায়। সেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ দায়ক নায়িকাদেরকে তারা বেধড়ক মারপিট করে।
২২ অক্টোবর ১৯৯৯
খাগড়াছড়িতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করে ইউপিডিএফ ও তার নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর আহত সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল খাগড়াছড়ির ঐ সমাবেশটি বাবুছড়ায় সাধারণ জনগণের ওপর সেনাবাহিনী ও সেটেলারদের যৌথ হামলার প্রতিবাদে আহ্বান করা হয়েছিল।
১৭ নভেম্বর ১৯৯৯
খাগড়াছড়িতে নানিয়াচর গণহত্যা স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে বেপরোয়া হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনী তিন সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মিকে আহত করে। কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই সেনা সন্ত্রাসীরা ঐ হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিবাদে পিসিপি তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
২ ডিসেম্বর ১৯৯৯
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন ফেডারেশনের উদ্যোগে ঢাকার ”ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির দুই বছর ও পর্যালোচনা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা শাখার সহসভাপতি বেনজিন চাকমা সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রতিকার চাকমা, চম্পানন চাকমা, উৎপল খীসা সমারী চাকমা, মেকী খীসা. মিঠুন চাকমা ও দীপংকর ত্রিপুরা। চট্টগ্রামেও ২ ডিসেম্বর জেএসএস ও সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের দিনকে “গ্লানি দিবস” হিসেবে আখ্যায়িত করে আলো হয়। সৌমিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনায় অংশ নেন সঞ্চয় চাকমা, ধ্রুবজ্যোতি চাকমা, পুলক চাকমা ও রূপক চাকমা ।
১২ ডিসেম্বর ১৯৯৯
রাঙ্গামাটির ঘাগড়া থেকে পিসিপি নেতা মিল্টন চাকমা ও পান্টু চাকমাকে অপহরণের প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সন্তু লারমা লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা তাদেরকে গাড়ী থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে অপহর করেছিল। পরে প্রবল প্রতিবাদের মুখে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৯
ঢাকা ও চট্টগ্রামে মংশে মারমার অপহরণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর সন্তু লারমার লেলিযে দেয়া সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার সহযোগী আব্রেশে মারমাকে অপহরণ করেছিল।
২৬ ডিসেম্বর ১৯৯
পুলিশ চট্টগ্রামে ইউপিডি- এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে দেয়। লালদিঘীতে বানানো সভা মঞ্চ ভেঙে দেয়। ৪৫ জনকে হো করে। লাঠিপেটা করে অনেককে আহত করে। ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউে আত্মহণকারীদের জন্য রান্না করা খাবারও পুলিশ না করে দেখ। অনুষ্ঠাে আগতদের নুপুরের খাবার পর্যন্ত থেকে দেয়া হয়নি। ঢাকা থেকে আগত অতিথিদেরকেও তারা মারোহাল ও হেনস্থা করে। শহীদ মিনারে সমাবেশে যোগ দিতে গেলে আনু মহাম্মদ ও রুমি পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। জেএসএস বাগড়াছড়িতে তথাকথিত সড়ক অবরোধের ডাক দিয়ে ইউপিডিএফ-এর ভাড়া করা ১৭টি গাড়ি আসতে দেয়নি। বান্দরবানে রোষ বেইলী ব্রিজে ফেলে। ফলে সেখানে ২টি গাড়ি আটকে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০০০ লোক চট্টগ্রামে পৌঁছতে সক্ষম হয়। ইউপিডিএফ’ এর অনুষ্ঠান ভুল করে নেবার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সামনে বিকেলে পিসিপিইউ এর জন্য মিছিল বের করে
১৭ জানুয়ারি ২০০০
পিলিপি কমলছড়ি শাখা গঠিত হয়। এ উপলক্ষে কমলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বীর বহু চাকমা। জেলা শাখার সহসভাপতি জেলাস রুমা উপস্থিত ছিলেন।
১০ মার্চ ২০০০
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে ১০ মার্চ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপন দিবস পালন করা হয়। পিসিপি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করে। চট্টগ্রামে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ী গণ পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
১৮ মার্চ ২০০০
চট্টগ্রামের নন্দন কাননস্থ বুদ্ধিই ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে কারামুক্ত ইউপিডিএফ ভুক্ত পিসিপি’র নেতাকর্মি ও সমর্থকদের জন্য এক সমর্থন সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন ধ্রুবজ্যোতি চাকমা। বক্তব্য রাখেন সঞ্চয় চাকমা, শান্তিদের চাকমা, রূপক চাকমা, উথোয়াইচিং মারমা, সৌমিত্র চাকমা, বিরাজ ময় চাকমা ও কারামুক্তদের পক্ষে বিদ্যুৎ চাকমা, শান্তিপ্রিয় চাকমা, সহদেব চাকমা ও চরণ সিং তঞ্চঙ্গ্যা। উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসে তারা পুলিশ কর্তৃক অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হন।
১২ মে ২০০০
ঢাকা শাখার সম্মেলন ও ৭ম কাউন্সিল। ঢাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন বেনজিন চাকমা। সকালের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য রবি শংকর চাকমা, পিসিপি’র প্রাক্তন সহসভাপতি প্রতিকার চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক চম্পানন চাকমা, প্রমেশ্বর চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী রূপনা চাকমা ও মেকী খীসা। সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বল আজিম এবং সূচনা অধ্যয়ন চক্রের আবুল হাসান করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপংকর ত্রিপুরা। কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে বেনজিন চাকমাকে সভাপতি ও মিঠুন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
১৫ মে ২০০০
কুকিছড়া স্কুল মাঠে পিসিপি ভাইবোন ছড়া শাখার চতুর্থ কাউন্সিল ও বার্ষিক সম্মেলন। তুতুমণি চাকমা সভাপতিত্ব করেন। ঝন্টু চাকমাকে সভাপতি, সুদীপ্ত চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও শিহরণ ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে নতুন কমিটি গঠিত হয়।
২০-২২ মে ২০০০
প্রশাসন ও সন্তু চক্রের মিলিত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ১০তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে ৭ নং সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল কাজী নুরুজ্জামান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। ঐ দিন প্রশাসন পৌর এলাকা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করে। সন্তু চক্রের মদদে সন্ত্রাসীরা একই জায়গায় একই সময় তথাকথিত সভা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিলে প্রশাসন মাঠে নেমে পড়ে এবং সন্তু চক্রের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ভন্ডুল করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়ে। তারই ফলশ্রুতিতে ঐ ১৪৪ ধারা ঘোষণা। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পিসিপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ও কাউন্সিল ভন্ডুল করা সম্ভ হয়নি।
কর্ণেল কাজী নুরুজ্জামান ছাড়াও ঢাকা থেকে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বদরুদ্দীন উমর, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানস চৌধুরী ও সাইফ ফেরদৌস, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি, বাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমাম গাজ্জালী, নারী আন্দোলনের নেত্রী সাইদিয়া গুলরুখ। এরপর অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে ৩২টি শাখার ৮৫ জন প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে রূপক চাকমা সভাপতি ও চম্পানন চাকমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
৫ জুলাই ২০০০
খাগড়াছড়ির শিব মন্দির এলাকায় শহীদ ভবন জয় চাকমা ও জগদীশ চাকমার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত । সকালে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয় । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝন্টু চাকমা।
১২ আগষ্ট ২০০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্তু চক্রের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা পিসিপি নেতা চম্পানন চাকমা ও মিঠুন চাকমার ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল।
২০ আগষ্ট ২০০০
নওগাঁ জেলায় সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, অগ্নি সংযোগ ও আলফ্রেড সরেন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ । বক্তব্য রাখেন চম্পানন চাকমা, সমারী চাকমা, বেনজিন চাকমা, মিঠুন চাকমা ও বিন্দু রঞ্জন চাকমা প্রমুখ ।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০০০
ইউপিডিএফ-এর দুই কর্মি নিরুপম চাকমা ও চন্দ্র মোহন চাকমাকে অপহরণের প্রতিবাদে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, নতুন পার্টি ইউপিডিএফ-এ যোগ দেয়ার আগে এরা দু’জনেই পিসিপি’র সাথে যুক্ত ছিলেন। তাদেরকে সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা শ্রমণ অবস্থায় ২২ সেপ্টেম্বর সুবলং -এর হাজাছড়া গ্রামস্থ সাম্য মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার থেকে অপহরণ করে । ধারণা করা হয় দুষ্কৃতিকারীরা তাদেরকে খুন করেছে। ইউপিডিএফ ছাড়াও রাজ বন বিহার, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ ও খাগড়াছড়িতে। অন্য আট জন ভিক্ষুও এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন।
৩০ অক্টোবর ২০০
খাগড়াছড়ি জেলায় মং সার্কেলের রাজা পাইলা প্রু চৌধুরীর ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে পিসিপি ও এইচডব্লিউএফ-এর চট্টগ্রামে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ। বক্তব্য রাখেন কবিতা চাকমা, দীপায়ন খীসা, রূপক চাকমা, মনাং দেওয়ান ও বিপ্লব চাকমা।
১৭ নভেম্বর ২০০०
ঢাকা চট্টগ্রামসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নানিয়াচর গণহত্যার ৭ম বার্ষিকী পালিত। ঢাকায় জগন্নাথ হল সংসদ কক্ষে ঢাকা শাখার উদ্যোগে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় পাহাড়ী গণপরিষদ কেন্দ্রীয় পুনর্গঠন কমিটির আহ্বায়ক সচিব চাকমা ও প্রাক্তন পিসিপি সভাপতি দীপায়ন খীসা উপস্থিত ছিলেন।চট্টগ্রামে ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউটে পিসিপি ও এইচডব্লিউএফ স্মরণ সভার আয়োজন করে। পিসিপি ভাইবোন ছড়া শাখা নানিয়াচর গণহত্যা দিবস পালন করে। সুদীপ্ত চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মিল্টন চাকমা, জেলাস চাকমা, স্বপন চাকমা, মনোরঞ্জন চাকমা ও মতি চাকমা।
৩ ডিসেম্বর ২০০০
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় বড়বিল গ্রাম থেকে পিসিপি সহসভাপতি মিল্টন চাকমা, সহসাধারণ সম্পাদক জেলাস চাকমা ও মানিকছড়ি শাখার সভাপতি মংসাজাই মারমা সহ ১৩ জন গ্রেফতার। মংশে মারমার ১ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ শেষে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডারের নেতৃত্বে একদল সৈন্য তাদেরকে গ্রেফতার করে পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এই সমাবেশে ৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যাভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশাসন তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়
১২ জানুয়ারি ২০০১
চট্টগ্রামে জেলা অডিটোরিয়ামে ইউপিডিএফ-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় পুলিশের হামলা, ইউপিডিএফ সদস্য সঞ্চয় চাকমা, পিসিপি সভাপতি রূপক চাকমা, গণ পরিষদের কেন্দ্রীয় পুনর্গঠন কমিটির সদস্য দীপায়ন খীসা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লব চাকমা ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক করিম আবদুল্লাহ সহ ৯ জনকে গ্রেফতার।