প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন‘৯১ উপলক্ষে
দেশবাসীর কাছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের আহ্বান
একটি সফল গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করার পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার যখন দেশের শাসন কার্য পরিচালনা করা শুরু করেছে ঠিক সেই মুহুর্তে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ উদযাপন করতে যাচ্ছে প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন। সম্মেলন উদযাপনকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রী তথা পাহাড়ী জনগণের পক্ষ থেকে আমরা সারাদেশের জনগণকে সংগ্রামী শুভেচ্ছাসহ রক্তিম অভিনন্দন।
দীর্ঘ ৯ বৎসর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানসহ পার্বত্য জাতিসত্ত্বা সমূহের অস্তিত্ব ছিল ধ্বংসের মুখোমুখী। দেশের সকল রাজনৈতিক দল-জোটসহ সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের দুর্বার গণ আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ আজ আবারও স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে চায় বিগত স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ সব সময় এদেশের জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।
প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন উদযাপন কালে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলন ও পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ী জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদেরকে স্বশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করছি এবং তাঁদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। স্বাধীনতাত্তোর বিভিন্ন সরকারের আমলে বিশেষ করে স্বৈরাচারী এরশাদের সৃষ্ট অরাজকতা ও অব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা আজ জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৬ সালের পর থেকে সরকারী উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গোপন নির্দেশের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ সমতল বাসীকে বাস্তুহীনতার লেবাসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপরিকল্পিতভাবে ও ব্যাপক পুনর্বাসনের ফলে এই সমস্যা এক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অধিকন্তু সাম্প্রতিককালে সংসদ নির্বাচনের পর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে পাহাড়ী জনগণের গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিলাদি নষ্ট করা হয়েছে। ফলে আজ তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন প্রায়। স্বৈরাচারী এরশাদের গণ বিরোধী শাসনামলে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর অকথ্য নির্যাতনে ৫০ হাজার পার্বত্যবাসী ভারতের মাটিতে আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাহাড়ি জনগণকে পর্যায়ক্রমে ক্ষদ্র জনগোষ্ঠীতে পরিণত করে নিশ্চিহ্ন করার হীন উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবত পাহাড়ী জনগণের উপর চলছে ধর পাকড়, দমনমূলক নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণসহ নারকীয় হত্যাকাণ্ড। উন্নয়নের কথা বলে বিগত সরকারগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে কোটি কোটি টাকা জাতিগত নিপীড়নের উদ্দেশ্যে ব্যয় করেছে। বর্তমান সরকারও তা অব্যাহত রেখেছে। মোট কথা বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বেসামরিক ছদ্মবেশে এখনো সামরিক স্বৈরশাসন বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবসা, বাণিজ্য, চাকুরী, ঠিকাদারী, গাছ কাটার পারমিট, মাছ ধরার লাইসেন্স, উন্নয়ন বোর্ড, সম্প্রতি উপজেলা সহ সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সেনাবাহিনীর দ্বারা। যার ফলে তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে চরম দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি। সৃষ্টি হয়েছে কিছু পাহাড়ী সুবিধাভোগী দালাল।
অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী সৌহার্দপূর্ণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করার হীন উদ্দেশ্যে পাহাড়ী জনগণকে নিজ জায়গা থেকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী তথাকথিত গুচ্ছগ্রাম, শান্তি গ্রামে জোরপূর্বক পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে পাহাড়ী জনগণকে অনাহারে অর্ধাহারে মারার ব্যবস্থা করেছে গণবিরোধী এরশাদ শাহী: যা অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে। আমরা চিরাচরিত এই গণবিরোধী নীতির অবসান চাই।
আজ থেকে দু’বছর আগে বিগত ১৯৮৯ ইং সনের ৪ঠা মে লংগদু উপজেলার পাহাড়ী জনগণের উপর যে নারকীয় গণহত্যা চালানো হয় তারই প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধিত্ব করার দৃঢ় অঙ্গীকার ও প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষা, সংহতি ও প্রগতির মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জন্ম। জন্মলগ্ন থেকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবী সহ সার্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক গণমুখী সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা দাবীর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সাংবিধানিক নিশ্চয়তাসহ প্রকৃত রাজনৈতিক সমাধানের দাবী জানিয়ে আসছে। আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করতে চাই, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুব্ধ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ চরম সংকটের মুখোমুখি। স্বাধীন দেশে আজ পাহাড়ী ছাত্র সমাজকে (গ্রামাঞ্চলে) বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনী প্রদত্ত পরিচয় পত্র বহন করতে হয়। ছাত্রনেতা দীপায়ন, সুরেশ, টুলু, সুজন সহ অসংখ্য প্রতিভাবান ছাত্র আজ সেনাবাহিনীর সাজানো মিথ্যা মামলায় বিনা বিচারে আটক রয়েছে। বিরাজমান অশান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ আজ শিক্ষক সমস্যাসহ অসংখ্য সমস্যায় জর্জড়িত। অধিকন্তু বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি কলেজ থেকে বি.এস,সি ও বি, কম তুলে দিয়ে শিক্ষা সংকোচন নীতির হীন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও তা সামরিক খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে সেখানে গড়ে উঠছে ক্যান্টনমেন্টের পর ক্যান্টনমেন্ট। মোতায়েন করা হয়েছে প্রতি পাঁচ জন পাহাড়ীর জন্য ১ জন সামরিক/আধা সামরিক বাহিনী। এই হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং (বুয়েট)/বি আই টি/পলিটেকনিক্যাল), কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার নির্ধারিত যে কয়টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে তা নির্ধারিত হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সেনা প্রধানের কলমের খোঁচায়। এর ফলে যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে অযোগ্য ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ লাভ করা সত্ত্বেও অযোগ্যতার কারণে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার ফলে পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা সম্পর্কে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ছাত্র-শিক্ষকদের মনে সৃষ্টি হচ্ছে ভ্রান্ত ধারণা। অধিকন্তু ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার।
বস্তুতঃ আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজ করছে অঘোষিত এক সামরিক স্বৈরশাসন। সন্ত্রাস দমনের নামে সেখানে প্রতিনিয়ত লংঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। বিশেষ করে গণধিকৃত এরশাদের সৃষ্ট তথাকথিত পার্বত্য জেলা পরিষদ এই সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেছে। জনবিচ্ছিন্ন সুবিধাভোগী তথাকথিত পাহাড়ী নেতারা ভোটারবিহীন প্রসহনমূলক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরশাদ কর্তৃক পুরস্কৃত হয়ে যারা বিগত স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে। যার ফলে আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। এই সমস্ত জনবিচ্ছিন্ন সুবিধাভোগী স্বঘোষিত নেতারা পার্বত্য জনগণের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার আদায় করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে পাহাড়ী জনগণ প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। অন্যদিকে গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত বর্তমান সরকার বিগত ১০ই জুন এরশাদের সৃষ্ট তথাকথিত পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে নাম সর্বস্ব ২১টি বিষয় হস্তান্তর করার কথা ঘোষণা দিয়ে এরশাদের সৃষ্ট নীতি বহাল রাখা ও এরশাদের সহযোগীদে র পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণতান্ত্রিক সরকারের এই ধরনের গণধিকৃত নীতি অনুসরণ যা পার্বত্যবাসীকে অত্যন্ত হতাশ ও বিস্মিত করেছে। গণতান্ত্রিক সরকারের এই নীতি তিন জোটের রূপরেখা ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ঘোষিত দশ দফা দাবীর পরিপন্থী। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ গণতান্ত্রিক সরকারের এ ধরনের গণধিকৃত নীতি অনুসরণে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন কোন সমস্যা নয়। এটা দেশের অন্যতম জাতীয় সমস্যা। আমরা মনে করি সরকার, বিরোধীদল, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মীসহ পাহাড়ী জনগণের সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যমতের মাধ্যমেই কেবল এই সমস্যার সম্মানজনক সমাধান সম্ভব। এ ব্যাপারে সচেতন দেশবাসীকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যার বাস্তবচিত্র তুলে ধরে পাহাড়ী জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
আসুন আমরা নিম্নোক্ত দাবীগুলো জাতীয় দাবী হিসাবে তুলে ধরি।
১। গণ বিরোধী স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার কর্তৃক জোর পূর্বক চাপিয়ে দেওয়া গণধিকৃত জেলা পরিষদ অবিলম্বে বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা চালু।
২। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর এবং জনসংহতি সমিতি সহ পাহাড়ী জনগণের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সাংবিধানিক নিশ্চয়তাসহ বিরাজমান সমস্যার প্রকৃত রাজনৈতিক সমাধান ও জাতীয় সংসদে পাহাড়ী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি আসন পাহাড়িদের জন্য সংরক্ষণ। প্রয়োজনে আসন সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
৩। পাহাড়ীদের জন্য সংরক্ষিত ছাত্র ও চাকুরী সংক্রান্ত আসন সমূহ বন্টনের ব্যবস্থা চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর। পাহাড়ী ছাত্রদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বৃত্তি সংক্রান্ত ২৫/৩/৭৬ ইং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সংরক্ষণ ও চাকুরী সংক্রান্ত ৫% সংরক্ষিত আসনসমূহ সহ ছাত্র সমাজের দশ দফা দাবীর যথাযথ বাস্তবায়ন।
৪। ভারতে অবস্থানরত পাহাড়ী শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার তত্ত্বাবধানে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে ফিরিয়ে এনে নিজ নিজ জমিতে সুষ্ঠু পুনর্বাসন ও গুচ্ছগ্রাম, বড় গ্রাম, শান্তি গ্রামের মত নির্যাতন শিবিরগুলো ভেঙে দিয়ে পাহাড়ীদের নিজ নিজ জায়গায় স্বাধীনভাবে বসবাস ও চলাফেরার নিশ্চয়তা বিধান।
৫। পার্বত্য চট্টগ্রামে Cadastral জরিপ এবং সরকারী উদ্যোগে পুনর্বাসিত অপাহাড়ীদের কর্তৃক দখলকৃত পাহাড়ীদের জমি স্ব-স্ব মালিককে ফেরত প্রদান এবং অবিলম্বে সরকারী উদ্যোগে পুনর্বাসিত অপাহাড়ীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার।
০৯-০৭-৯১
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত