১৩এপ্রিল ২০১০
সরকারের অব্যাহত দমন-পীড়নের প্রতিবাদে পাহাড়ি জনগণের বৃহৎ সামাজিক ও জাতীয় উৎসবের দিন দুপুর ১২টায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি ও সাজেক নারী সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকসু ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালন করে।
২০ মে ২০১০
পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত। মাটিরাংগা, পানছড়ি, দিঘীনালা, মহালছড়ি এবং রাঙামাটির কাউখালী সহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভা- সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
২৩ আগস্ট ২০১০
রাঙামাটির নান্যাচরে আটক ৩ নেতাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটির নান্যাচর সহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় একযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
৯ সেপ্টেম্বর ২০১০
রাঙামাটির নান্যাচরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদ্য কারামুক্ত সাত নেতা-কর্মীকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২৩ ও ২৯ আগস্ট দু’ দফায় নান্যাচর জোনের সেনাবাহিনী কর্তৃক তারা গ্রেফতার হন। মুক্তিপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীরা হলেন- বিলাস চাকমা, বাবলু চাকমা, বিনয়ন চাকমা, তাপুমনি চাকমা, ইখন চাকমা, যুথিকা চাকমা ও সদস্য যত্না চাকমা।
১০ ডিসেম্বর ২০১০
“অবিলম্বে মিটিং মিছিলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নাও, সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যুক্ত হোন’ এই শ্লোগানে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে ৬২তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস খাগড়াছড়িতে পালিত হয়।
১৫ ডিসেম্বর ২০১০
পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১১তম কাউন্সিল ও সম্মেলন স্বনির্ভর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে শান্তিপূর্ণ র্যালি বের করতে চাইলে জেলা পরিষদের সামনে পুলিশ বাধা দেয় এবং র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এতে নারী-শিশু সহ কমপক্ষে ৪০ জনকে আটক করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ২০১০
১৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১১তম কাউন্সিল ও সম্মেলনের দিন সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত র্যালিতে পুলিশের হামলা, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও আটককৃতদের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালিত হয়।
২১ জানুয়ারী ২০১১
সেনাবাহিনীর বাধার মুখে রাঙামাটি জেলা শাখার ৪র্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় রাঙামাটি জেলার কুদুকছড়ি বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা। সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকগণের সম্মতিক্রমে বিলাস চাকমাকে সভাপতি, ঝন্টু চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও বাবলু চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারী ২০১১
জাতিসত্তার নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় ক্লাশ বর্জন কর্মসূচি পালন করে।
৮ জুলাই ২০১১
চট্টগ্রাম নগরীর মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী হলে এক ছাত্র সমাবেশের মধ্য দিয়ে সুকৃতি চাকমাকে আহ্বায়ক ও রিবেঙ চাকমাকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট চাট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক কমিটি এবং শিমন চাকমাকে আহ্বায়ক ও রাতুল চাকমাকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ।
১৪ জুলাই ২০১১
সংখ্যালঘু জাতিসমূহের ওপর বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ও সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১
শিক্ষা দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র উদ্যোগে ছাত্র সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।।।
১৩ অক্টোবর ২০১১
শহীদ ভরদ্বাজ মুনির ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় দীঘিনালায় পালিত হয়।
১৭ অক্টোবর ২০১১
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ৫ নেতার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ নভেম্বর ২০১১
খাগড়াছড়ির জেলার মানিকছড়ি সেমুতাণ্ড গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস পার্বত্যবাসীদের চাহিদা পূরণ না করে বাইরে পাচারের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে মহালছড়ি ও পানছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
২৮ নভেম্বর ২০১১
“অধিকারহারা নিপীড়িত জনগণের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে সংগঠন” এই শ্লোগানে খাগড়াছড়িতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) সহ ৭ সংঠনের যৌথ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অপর সংগঠনগুলো হলো গণতান্ত্রক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী সমাজ ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ড।
৩ ডিসেম্বর ২০১১
সেমুতাঙের গ্যাস বাইরে পাচারের প্রতিবাদে মানিকছড়িতে আয়োজিত সমাবেশে পুলিশী বাধার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় অর্ধদিবস সড়ক অবরোধ পালিত হয়।
৭ ডিসেম্বর ২০১১
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে এবং বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কাউখালী, খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, পানছড়ি ও গুইমারায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর ২০১১
দীঘিনালার কবাখালীতে ১৪ ডিসেম্বর চিগোনমিলা চাকমাকে হত্যাকারী সেটলারদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং বাঘাইছড়িতে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িদের উপর সেটলার হামলার প্রতিবাদে পিসিপি-ডিওয়াইএফ ও এইচডব্লিউএফ-এর উদ্যোগে দীঘিনালা ও বাঘাইছড়িতে ১৭ ডিসেম্বর কালো ব্যাজ ধারণ ও ১৯ ডিসেম্বর অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১১-১৩ জানুয়ারি ২০১২
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ১৯তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। তিনদিন ব্যাপী কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম এম.ই.এস কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন খান। কাউন্সিল অধিবেশন শেষে সুমেন চাকমাকে সভাপতি, থুইক্যচিং মারমাকে সাধারণ সম্পাদক ও আক্রসি মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
১৮ মে ২০১২
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের শুনানী বাতিলের দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ভূমি কমিশনের শুনানী বাতিল করে পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিাকরের স্বীকৃতি, ভূমি বেদখল বন্ধ করা ও বেদখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয়া, ভূমি কমিশনের অগণতান্ত্রিক ধারা সংশোধন ও ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণ এবং সেটলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সমতলে সম্মানজনক পুনর্বাসন ও তাদেরকে দেয়া অবৈধ ভূমি বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়।
৩ জুলাই ২০১২
সরকারী বাহিনীর পৃষ্টপোষকতায় রামগড়সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
৮ আগস্ট ২০১২
বান্দরবানের থানচি সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে অব্যাহত ভূমি বেদখল, বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ, বিজিবি ক্যাম্প ও সেনা গ্যারিসন সম্প্রসারণ বন্ধের দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে ঢাকায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২২-২৩ আগস্ট ২০১২
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ৯ মাইল এলাকার তপন কার্বারী পাড়ায় ১১ বছরের এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণকারী অটলটিলা পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল মো: রাসেল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম দীঘিনালাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
২৫-২৬ আগস্ট ২০১২
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ১২তম কাউন্সিল দু’দিন ব্যাপী খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে সম্পন্ন হয়। কাউন্সিলে উমেশ চাকমাকে সভাপতি, বিপুল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও রজেন্টু চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
সেনাবাহিনী কর্তৃক ৫ সেপ্টেম্বর পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নান্যাচর উচ্চ বিদ্যালয় শাখার দত্ত সম্পাদক ও দশম শ্রেণীর ছাত্র সোহেল চাকমাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার নিঃশর্ত মুক্তির. দাবিতে নান্যাচর উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর নান্যাচর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২
সংবিধানে জাতিসত্তার স্বীকৃতি এবং মাতৃভাষায় সকল জাতিসত্তা ও ভাষাভাষীর প্রাথমিক শিক্ষা। নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০১২
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের নালকাটা (কৃপাপুর) গ্রামে ১৮ সেপ্টেম্বর পাহাড়ি গৃহবধুকে(২৫) ধর্ষণকারী মো: আজাহার আলীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ দীঘিনালায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করে। এছাড়াও এর প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি সদর সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ -২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২
রাঙামাটি শহরে ২২ সেপ্টেম্বর সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির বিভিন্ন জায়গায় এবং ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
১২ অক্টোবর ২০১২
কক্সবাজারের রামু টেকনাফ-উখিয়া, চট্টগ্রামের পটিয়া ও রাঙামাটিতে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
১৯-২০ অক্টোবর ২০১২
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক থুইক্যচিং মারমার পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যগণ নিজ নিজ বিভাগের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বৈঠকে ২২ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি তদন্ত রিপোর্টের সমালোচনা ও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
২৩ অক্টোবর ২০১২
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমেন চাকমা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিমন চাকমার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি টীম কক্সবাজারের রামুর ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকা ও বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করে।
৩০ অক্টোবর ২০১২
‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে জাতিসত্তাসমূহের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও উগ্রসাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধের দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে অশুভ শক্তি প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়।
১২ নভেম্বর ২০১২
বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংখ্যালঘু জাতি সমূহের স্ব স্ব কোটা ব্যবস্থার দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করে। একই দাবিতে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে ও খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ নভেম্বর ২০১২
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নান্যাচর থানা শাখার উদ্যোগে নান্যাচর গণহত্যার ১৯তম বার্ষিকী অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন, ভাষা-সংস্কৃতি ও জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার দাবিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিভিন্ন শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
২০ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য ২৬ ফেব্রুয়ারি চবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে।
৭ মার্চ ২০১৩
১৯৯৬ সালে সেনা সৃষ্ট মুখোশ বাহিনীর সন্ত্রাস ও অপকর্মের বিরুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল গণপ্রতিরোধের ১৭ বছরপূর্তিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গনতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিতে ‘নব্য মুখোশ হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘মুখোশ বাহিনীর মদদদাতা মেজর মেহবুবদের কাছ থেকে সাবধান” …ইত্যাদি লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয় ।
১০ এপ্রিল ২০১৩
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে ১০ এপ্রিল ২০১৩ খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও চট্টগ্রাম নগরীতে স্মরণ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে লোগাং গণহত্যার ২১তম বার্ষিকী পালিত হয়।
২০-২১ মে ২০১৩
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত বিশাল ছাত্র সমাবেশ ও র্যালি উদ্বোধন করেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত খীসা। ২১ মে সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়ামে পিসিপি’র সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২২-২৩ মে ২০১৩
দু’দিন ব্যাপী ২০তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙখিয়াস্থ সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে থুইক্যচিং মারমাকে সভাপতি, বিলাস চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও শিমন চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
৭ জুন ২০১৩
পিসিপি’র ২ যুগপূর্তি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি বহরে সন্তু গ্রুপের দুর্বৃত্তদের নির্বিচারে স্কুল ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ, ২জনকে জখম, ছাত্রীদের মারধর-লাঞ্ছনা এবং ৪০ জনকে অপহরণ ও হয়রানির প্রতিবাদে পানছড়ি উপজেলার ধুধুকছড়ায় ছাত্র- গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।