গঠনতন্ত্র
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)
প্রথম অধ্যায়
১নং ধারা: নামকরণ:
এই সংগঠনের নাম হবে “বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ”
ইংরেজীতে “Greater Chittagong Hill Tracts Hill Student Council” সংক্ষেপে পিসিপি (PCP) বা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নামে অভিহিত হবে।
২ নং ধারা: কেন্দ্রীয় দপ্তর:
সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর প্রধানত: ঢাকায় অবস্থিত থাকবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতি কিংবা বাস্তবতার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে স্থানান্তরিত হতে পারে।
৩ নং ধারা: সংগঠনের মূলমন্ত্র:
সংগঠনের মূলমন্ত্র হবে- শিক্ষা, সংহতি ও প্রগতি।
৪ নং ধারা: মনোগ্রাম:
মনোগ্রাম অংকিত উড়ন্ত শ্বেত কপোত শান্তির প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে। পাঁচটি লৌহ কপাতের মধ্য দিয়ে উদিত লাল সূর্যের মাধ্যমে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধিকারহারা নির্যাতিত নিপীড়িত পাহাড়ি জনগণের মুক্তির আকাঙ্খা প্রকাশ করছে। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত নারী পাহাড়ি জাতিসত্তা সমূহের সংস্কৃতি ও সংহতির প্রতীক। তার উদ্ধত বজ্রমুষ্ঠি পাহাড়ি জাতিসত্তা সমূহের নবজাগরণ ও প্রতিবাদী চরিত্রের প্রতীক। অংকিত পাহাড়ের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে (পার্বত্য চট্টগ্রামকে) বুঝানো হয়েছে।
৫ নং ধারা: পতাকাঃ
পতাকার সাদা অংশ শান্তির প্রত্যাশা, সাদা জমিনের উপর পালক সদৃশ্য লাল ডোরা মুক্তির আকাঙ্খা, কালো জমিন স্পর্শকারী লাল রেখা অন্যায়-অনাচার ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং পতাকার সবুজ জমিন সংগঠনের তারুণ্য ও উদ্দীপনার প্রতীক।
দ্বিতীয় অধ্যায়
৬ নং ধারা: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
(ক) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্তা সমূহের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সংহতি সমুন্নত রাখা এবং জাতীয় অস্তিত্ব নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যথার্থ ভূমিকা পালন করা।
(খ) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের (পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের) জনগণের মধ্যে শিক্ষার প্রচার ঘটানো।
(গ) বিলুপ্ত প্রায় পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও কল্যাণ সাধন।
(ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ছাত্র- ছাত্রীদের স্বার্থের সংরক্ষণ ও কল্যাণ সাধন।
(ঙ) বিভিন্ন প্রকাশনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পাঠচক্র, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের মাধ্যেমে পার্বত্য চট্টগ্রামের (পাহাড়ি) ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মুক্ত চিন্তার প্রসার ঘটানো, অনুশীলন ও চর্চা করা এবং সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন।
(চ) পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে বাংলাদেশের সকল জাতিসত্তাদের স্বাধিকার আন্দোলনে একাত্মতা ও ভূমিকা রাখা।
তৃতীয় অধ্যায়
৭ নং ধারা: সাংগঠনিক কাঠামো:
সাংগঠনিক কাঠামো হবে নিম্নরূপ:-
(ক) বার্ষিক সম্মেলন (কাউন্সিল অধিবেশন)
(খ) প্রতিনিধি সম্মেলন
(গ) কেন্দ্রীয় কমিটি
(ঘ) কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি)
(ঙ) জেলা কমিটি
(চ) বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি
(ছ) থানা কমিটি
(জ) কলেজ কমিটি
(ঝ) ইউনিয়ন কমিটি
(ঞ) আঞ্চলিক কমিটি
(ট) স্কুল কমিটি
৮নং ধারা: বার্ষিক সম্মেলন:
(ক) বার্ষিক সম্মেলন হবে সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা/সভা। এটি ‘কাউন্সিল অধিবেশন’ নামেও অভিহিত হবে।
(খ) বৎসরে একবার এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সংগঠনের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি প্রণয়ন ও লক্ষ্য নির্ধারণসহ প্রয়োজনবোধে গঠনতন্ত্রের ধারা সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন কিংবা সংশোধন হবে।
(গ) বার্ষিক সম্মেলনে সংগঠনের সকল স্তরের (কেন্দ্রীয় কমিটি হতে নিম্নতর পর্যন্ত) সদস্য, কর্মী সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ গ্রহণ করতে পারেন। তবে নীতি নির্ধারণী বৈঠকে কেবলমাত্র মনোনীত প্রতিনিধিরাই অংশ নিতে পারবেন। অন্যরা পর্যবেক্ষকের মর্যাদার অধিকারী হবেন। পর্যবেক্ষকদের কোন ধরণের ভোটাধিকার থাকবে না।
(ঘ) অনুমোদিত শাখা হতে মনোনীত/নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিরা (কাউন্সিলর) সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। জেলা কমিটি হতে ৭ জন, বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি হতে ৫ জন, থানা কমিটি হতে ৩ জন, কলেজ কমিটি হতে ২ জন, ইউনিয়ন কমিটি হতে ১ জন, আঞ্চলিক কমিটি হতে ১ জন এবং স্কুল কমিটি হতে ১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত/মনোনীত হবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা পদাধিকার বলে প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) হিসেবে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত/মনোনীত প্রতিনিধিরাই ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারী হবেন। যদি কোন শাখার আহ্বায়ক কমিটি বিরাজ করে তাহলে জেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’জন কাউন্সিলর ও একজন পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ইউপি এবং আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে ১ জন করে পর্যবেক্ষক অংশ নিতে পারবেন।
(ঙ) সম্মেলনে সাবজেক্ট কমিটির (subject committee) মাধ্যমে ১৯-২৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও ৯-১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী মনোনীত করে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি) প্রতিনিধিবর্গের কাছে সম্পাদকমন্ডলী মনোনীত করে (কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি) প্রতিনিধিবর্গের কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করতে হবে। সাবজেক্ট কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর ব্যাপারে প্রতিনিধিবৃন্দের দ্বিমত না থাকলে উক্ত কমিটিসমূহ অনুমোদিত হবে। উল্লেখ থাকে যে, কোন অবস্থাতেই (Panel Basis) প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচন অনুমোদন করা যাবে না। এটা কেন্দ্র হতে সকল শাখা পর্যন্ত কার্যকরী হবে। তবে, যে যে পদে ভিন্ন মত, নির্বাচনের মাধ্যেমে সে সব পদ পূরণ করতে হবে। বাস্তবতা অনুযায়ী নির্বাচন গোপন ব্যালট কিংবা কন্ঠ ভোটে দু’টি যে কোন একটি পদ্ধতিতে হতে পারবে।
(চ) সাবজেক্ট কমিটি গঠন প্রক্রিয়া জেলা কমিটি হতে ১ জন, বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি হতে ১ জন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক মনোনীত ১১ জন কেন্দ্রীয় সদস্যের সমন্বয়ে সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। পদাধিকার বলে ১১ জন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যই Subject committee সদস্য মনোনীত হবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে থেকে মোট ৬ জন সদস্য subject committee র অন্তর্ভুক্ত হবেন। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ থাকে যে, তিন পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান), ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসমূহ থেকে ১ জন করে মোট ৬ জন সদস্য থাকবেন।
(ছ) সম্মেলনে সকল সিদ্ধান্ত উপস্থিত প্রতিনিধিবর্গের প্রত্যক্ষ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হবে।
(জ) বার্ষিক সম্মেলনে অধিবেশন আহ্বান, স্থান, তারিখ ও বিষয়সূচী কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত ক্রমেকেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী নির্ধারণ করবে।
(ঝ) সম্মেলনে আহ্বানের জন্য কমপক্ষে ৩০ দিনের পূর্বে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। তবে, বিশেষ পরিস্থিতে যুক্তিসঙ্গত কারণ সাপেক্ষে ১৫/২০ দিনের নোটিশ যথেষ্ট বলে গণ্য হবে।
(ঞ) সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সংগঠনের কার্যক্রমের প্রতিবেদন পেশ করবেন। বিস্তারিত আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রনয়ন পূর্বক প্রতিনিধিবৃন্দ প্রতিবেদন অনুমোদন করবেন।
(ট) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বার্ষিক সম্মেলনের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
৯ নং ধারা: প্রতিনিধি সম্মেলন:
(ক) বার্ষিক সম্মেলনের পর কর্মপন্থা পর্যালোচনা, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বৃহত্তর কর্মসূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিনিধি সম্মেলনই হবে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সভা।
(খ) নির্বাচিত হবার ৬ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলন আহ্বান করে সংগঠনের কার্যক্রম ও কর্মপন্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
(গ) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী প্রতিনিধি সম্মেলনের স্থান, সময় ও বিষয়সূচী নির্ধারণ করে ৩০ দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
(ঘ) প্রতিনিধি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যবৃন্দসহ জেলা শাখা হতে ৩ জন, বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২ জন, থানা শাখা হতে ২ জন, কলেজ শাখা হতে ২ জন, ইউনিয়ন হতে ১ জন, আঞ্চলিক কমিটি হতে ১ জন ও স্কুল কমিটি হতে ১ জন করে প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করবেন। আগ্রহী সদস্যরা প্রতিনিধি সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
১০ নং ধারা: কেন্দ্রীয় কমিটি।
(ক) বার্ষিক সম্মেলনে পরবর্তী এক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হবে।
(খ) দুটি বার্ষিক সম্মেলনের অর্ন্তবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটিই হবে সর্বোচ্চ সংস্থা। বার্ষিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাবাবলী বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি সচেষ্ট থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনতন্ত্রের ধারা ব্যাখ্যা করবে এবং কোন কারণে গঠনতন্ত্রের ধারা নিয়ে সংকট দেখা দিলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেবেন।
(গ) বৎসরে অন্তত: চারবার (প্রতি ৩ মাস অন্তর) কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভায় কর্মসূচি ও কর্মপন্থা নির্ধারণ, নতুন শাখা অনুমোদন, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর কর্মকান্ডের মূল্যায়ন ও অনুমোদন এবং সংগঠনের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত সদস্য ও শাখা সমূহের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(ঘ) কেন্দ্রীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা হবে সর্বনিম্ন ১৯ সর্বোচ্চ ২৯ জন।
কমিটির পদবিন্যাস হবে নিম্নরূপ:
সভাপতি – ১ জন
সহসভাপতি – ১-২ জন
সাধারণ সম্পাদক – ১ জন
সহ সাধারণ সম্পাদক – ১-২ জন
১১ নং ধারা: কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি)
(ক) কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী থাকবে। কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
(খ) কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী নিজ দায়িত্ব ও কাজের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দায়ি থাকবে।
(গ) কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর কাজের সুবিধার্থে নিম্নোক্ত বিভাগসমূহ থাকবে।
১. গণসংযোগ ও সংগঠন
২. অর্থ
৩. দপ্তর ও ডকুমেন্টেশন
৪. তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা
৫. শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগ
(ঘ) কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীতে অন্তর্ভূক্ত/নির্বাচিত হবেন। ৫ টি বিভাগীয় দায়িত্ব পালনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ৫ জন সদস্য মনোনীত হবেন। আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ১ জন সহ-সভাপতি ও ১ জন সহ সাধারণ সম্পাদক মন্ডলীতে অন্তর্ভূক্ত হবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মন্ডলী বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করবেন।
(ঙ) সম্পাদক মন্ডলীতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ স্থায়ী হবে। বিভাগীয় সম্পাদকের পদসমূহ বাস্তবতা ও সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে পরিবর্তন করা যাবে। কোন বিভাগীয় সম্পাদকের পদ রদবদলের প্রয়োজন দেখা দিলে, তা কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় অনুমোদন করে নিতে হবে।
(চ) বিভাগগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে প্রতিটি ২ হতে ৩ জন সহযোগী সদস্য নিয়োগ করা যাবে। সম্পাদক মন্ডলীর সভায় বিভাগীয় সহযোগীদের নিয়োগ করা যাবে এবং একনিষ্ঠ অনুসারে সহযোগীদের রদবদল বা পরিবর্তন করা যাবে।
চতুর্থ অধ্যায়
১২ নং ধারা: কার্যনির্বাহীদের কার্যবলী ও ক্ষমতা:
(ক) সভাপতি: তিনি সংগঠনের সর্বপ্রধান কার্যনির্বাহী হিসেবে গণ্য হবেন। তিনি বার্ষিক সম্মেলন, সম্পাদক মন্ডলীর সভা ও বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন। কোন কারনে গঠনতান্ত্রিক সংকট দেখা দিলে কিংবা অনুরূপ কোন জটিল অবস্থার সৃষ্টি হলে, সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা আহবান করতে পারবেন। কোন সভায় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিলে এবং উভয় পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট দিলে, সভাপতি কাষ্টিং ভোট দিতে পারবেন।
(খ) সহ-সভাপতি: সভাপতির অনুপস্থিতিতে সম্পাদকমন্ডলীতে অর্ন্তভূক্ত সহ-সভাপতি অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে সম্পাদক মন্ডলী বিবেচনা ও পর্যালোচনা সাপেক্ষে যে কোন একজন সহ-সভাপতিকে অস্থায়ীভাবে সভাপতি রূপে মনোনীত করতে পারবে। তাছাড়া সহ-সভাপতিগণ সভাপতির সাধারণ কার্যবিধি পরিচালনা সহযোগীতা দেবেন এবং নিজ নিজ এলাকা অঞ্চলে সংগঠনের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সচেষ্ট থাকবেন।
(গ) সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যকরী প্রধান (Executive Head)। তিনি সভাপতির সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে সভা আহ্বান করবেন। বিভাগীয় সম্পাদকের কাজের সমন্বয় সাধন করবেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সমুদয় কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করবেন। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে স্বাক্ষরদান এবং সাংগঠনিক সার্কুলার প্রেরণ প্রভৃতি সাধারণ সম্পাদকের কাজের অন্তর্ভুক্ত।
(ঘ) সহ-সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদককে তার কাজে সহায়তাদানের জন্য সহ-সাধারণ সম্পাদকগণ থাকবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকমন্ডলীতে অর্ন্তভূক্ত সহ:সাধারণ সম্পাদকই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
(ঙ) বিভাগীয় সম্পাদক: বিভাগীয় সম্পাদকগণ নিজ নিজ বিভাগের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য সচেষ্ট থাকবেন। বিভাগীয় সম্পাদকগণ নিজ নিজ দায়িত্ব ও কাজের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট দায়ি থাকবেন।
(চ) কেন্দ্রীয় সদস্য: সদস্যবৃন্দ সংগঠনের নীতি আদর্শ ও চেতনা সমুন্নত রাখবেন। সুচিন্তিত মতামত দানের মাধ্যেমে সংগঠনকে গতিশীল করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।কেন্দ্রীয় সভায় যখন যে দায়িত্ব অর্পিত হবে সেই দায়িত্ব পালন করবেন।
পঞ্চম অধ্যায়
১৩ নং ধারা: শাখা কমিটি:
(ক) জেলা শাখায় ‘জেলা কমিটি’ ও নির্বাহী কমিটি থাকবে।
জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে অনুর্ধ্ব ১৯ জন। জেলা কমিটির সদস্য বৃন্দই নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করবেন।
(খ) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে অনুর্ধ্ব ১৭ জন। নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্যরাই বিবেচনা করবেন।তবে অবস্থা বিশেষে কোন কোন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিই নির্বাহী কমিটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে ক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা ১৫ জনের ঊর্ধ্বে হবে না।
(গ) থানা শাখায় কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে অনুর্ধ্ব ১৭ জন। নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা জেলা প্রতিনিধি ও থানা কমিটির সদস্যবৃন্দের বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত হবে।
তবে বাস্তবতা অনুসারে, ক্ষেত্র বিশেষে থানা কমিটিই নির্বাহী কমিটি হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সে ক্ষেত্রে কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ১৫ জন।
(ঘ) কলেজ কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ১৫ জনের উর্ধ্বে হবে না।
(ঙ) ইউনিয়ন কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ১১ জনের উর্ধ্বে হবে না।
(চ) আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সংখ্যা নূন্যতম ৫ জন হতে হবে।
(ছ) স্কুল কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে অনুর্ধ্ব ১৫ জন।
(জ) শাখা কমিটি সমূহে কেন্দ্রের সকল বিভাগ খোলার প্রয়োজন হবে না। তবে, সকল শাখায় অবশ্যই অর্থ ও দপ্তর দুটি বিভাগ চালু রাখতে হবে।
(ঝ) জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও থানা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হবে। কলেজ কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি ও স্কুল কমিটি- জেলা বা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হবে।
১৪ নং ধারা: শাখা সম্মেলন:
(ক) শাখা সম্মেলনই হবে শাখার সর্বোচ্চ সংস্থা। বৎসরে একবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পূর্বেই শাখা সম্পন্ন করতে হবে।
(খ) বিভিন্ন শাখার কার্যকরী কমিটিগুলো সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কমিটি সমূহের সাথে পরামর্শপূর্বক সম্মেলন আহ্বান করবে, স্থান ও সময় নির্ধারণ করবে।
(গ) সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি শাখা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক বিষয়াবলী সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করবেন।
(ঘ) জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, থানা ও কলেজ শাখা সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন, আঞ্চলিক কমিটি ও স্কুল কমিটির সম্মেলনে জেলা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি থেকে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
(ঙ) শাখা সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠিত হবে। সাবজেক্ট কমিটির মাধ্যেমে শাখা কমিটির সদস্যদের মনোনীত করে সম্মেলন পেশ করতে হবে। সাবজেক্ট কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত কমিটি ব্যাপারে দ্বিমত না থাকলে, তা কেন্দ্রীয় কমিটি সংশ্লিষ্ট উচ্চতর কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হবে। কমিটি নিয়ে দ্বিমত দেখা দিলে, সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন নেতার তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের কমিটি গঠন করা হবে। জেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট কমিটি কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত হবে। তবে উল্লেখ থাকে যে সাবজেক্ট কমিটি সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকসহ তাদের দ্বারা মনোনীত কমিটির চারজন সিনিয়র সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট জেলার / বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত থানা শাখা সমূহের সভাপতিরা সাবজেক্ট কমিটিতে অন্তভূক্ত হবেন। থানা ইউপি ও আঞ্চলিক শাখা সমূহের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অথবা থানা শাখার ক্ষেত্রে জেলা, ইউপি শাখার ক্ষেত্রে থানা ও আঞ্চলিক শাখার ক্ষেত্রে ইউপি শাখা প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে।
(চ) নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য তফশীল ঘোষণা করতে হবে। সম্মেলনে উপস্থিত নিয়মিত চাদাঁ দানকারী সদস্যরাই ভোটাধিকার লাভ করবেন।
১৫ নং ধারা: শপথ নামা:
আমি মি./মিস……………………… সুচিন্তিতভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে এই মর্মে শপথ নিচ্ছি যে, আমার উপর অর্পিত ………………. দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো। নিজের ব্যক্তিগত কাজের চাইতেও সাংগঠনিক দায়িত্বকে বেশি প্রধান্য দেবো।
আমার দায়িত্বপালনকালে যে কোন ভুলত্রুটির জন্য আমি দায়ি থাকবো এবং সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যেকোন কাজ করতে এবং ভুলের জন্য গৃহীত সংগঠনের আইনানুগ ব্যবস্থা মেনে নিতে বাধ্য থাকবো।
ষষ্ঠ অধ্যায়
১৬ নং ধারা: সভা ও কোরাম:
(ক) কেন্দ্রীয় কমিটির সভা বৎসরে ৪ বার (৩ মাস অন্তর) অনুষ্ঠিত হবে।
(খ) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী ও শাখা সমূহের নির্বাহী কমিটিগুলো নিজের সুবিধা অনুসারে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সভায় মিলিত হবে।
(গ) উপযুক্ত কারণ ছাড়া পর পর ৩ বার নির্বাহী বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে কমিটির পদ বাতিল হয়ে যাবে।
(ঘ) জরুরী সভা ৭ দিনের নোটিশে এবং সাধারণ পর্যালোচনা সভা ১৫ দিনের নোটিশে আহ্বান করতে হবে।
(ঙ) অতি জরুরী বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ক্রমে ৪৮ ঘন্টার নোটিশে সভা আহ্বান করতে পারবেন।
(চ) সাধারণ সম্পাদক সভাপতির পরামর্শক্রমে সভা আহ্বান করবেন।
(ছ) মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ উপস্থিত থাকলে সভার করাম পূর্ণ হবে।
(জ) সভায় যে কোন সিদ্ধান্ত সাধারণ সংখ্যাধিক্যে গৃহীত হবে।
সপ্তম অধ্যায়
১৭ নং ধারা: সদস্য যোগ্যতা:
(ক) পার্বত্য চট্টগ্রামের যে কোন সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান, প্রতিবাদী ও সংগ্রামী চেতনাসম্পন্ন পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রী পিসিপি’র লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে একাত্ম ঘোষণা করলে, সংগঠনের সদস্য হতে পারবে।
(খ) সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির জন্য আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীকে সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট ১০ টাকা প্রদানপূর্বক নিয়মিত মাসিক চাঁদাদান অব্যাহত রাখলে সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন।
(গ) কেউ সমাজ ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকলে অথবা আন্দোলন বিমূখ হলে এই সংগঠনের সদস্য হবার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
১৮ নং ধারা: বহিঃস্কার:
(ক) সংগঠনের গঠনতন্ত্র নীতি আদর্শ, লক্ষ-উদ্দেশ্য ও সিদ্ধান্তের পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হলে কিংবা সমাজ ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে কেন্দ্রীয় কমিটি যে কোন কর্মকর্তা (কেন্দ্র/শাখা) বা সদস্যকে সংগঠন থেকে বহিঃস্কার অথবা নিদিষ্ট সময়ের জন্য সদস্য পদ স্থগিত রাখতে পারবে।
(খ) বহিঃস্কার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অভিযুক্ত সদস্যদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় থাকবে। এই সময় অভিযুক্ত বা কর্মকর্তা যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে কিংবা তার ব্যাখ্যা বিশ্বাসযোগ্য না হলে কেন্দ্রীয় কমিটি অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
যদি কোন শাখা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটির পদে অধিষ্ঠিত সদস্য অথবা কর্মকর্তা বহিঃস্কৃত হন তাহলে সে ক্ষেত্রে ১ বৎসর কিংবা তার অধিক সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে তিনি কোন কমিটিতে পদ লাভের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন না অথবা যদি সাধারণ সদস্য পদসহ বহিঃস্কৃত হন সেক্ষেত্রে সাধারণ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য ১ বৎসর কিংবা তার অধিক সময় (শান্তি অনুসারে) লাগবে।
১৯ নং ধারা: অনাস্থা প্রস্তাব:
(ক) কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কমিটির কার্যকলাপ, গতিবিধি কিংবা বক্তব্য সংগঠন, সমাজ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি বলে প্রতিয়মান হলে অনাস্থা আনা যাবে।
(খ) কোন কর্মকর্তা বা কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্যকে লিখিতভাবে দাবি জানাতে হবে। উক্ত অনাস্থা প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/ সম্পাদককে ১৫ দিনের মধ্যে বিশেষ সভা আহ্বান করতে হবে। ঐ সভাই উপস্থিত সদস্যবর্গের দুই-তৃতীয়াংশ উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানালে তা গৃহীত বলে বিবেচিত হবে।
(গ) লিখিতভাবে উত্থাপন করা সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট কমিটির কর্মকর্তারা অনাস্থা প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সভা আহ্বান করতে ব্যর্থ হলে কিংবা গড়িমসি করলে, উক্ত অনাস্থা প্রস্তাব সরাসরি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কমিটির কাছে পেশ করা যাবে। লিখিত অভিযোগ পাবার ২১ দিনের মধ্যে উর্ধ্বতন কমিটিতে সভা ডেকে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
(ঘ) অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হবার ফলে কোন কমিটি বাতিল হয়ে গেলে, সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি (Add-haque Committee) গঠিত হবে। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত এড-হক কমিটি সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
(ঙ) উচ্চতর কমিটির বিরুদ্ধে নিম্নত্তর কমিটি অনাস্থা আনতে পারবে। জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য যৌথভাবে তিনটি থানা কমিটি বা তিনটি কলেজ কমিটিকে এবং থানার কমিটির বিরুদ্ধে যৌথভাবে তিনটি ইউনিয়ন কমিটি বা তিনটি স্কুল কমিটিকে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে। জেলা ও থানা শাখার সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কমিটিগুলোর এক-তৃতীয়াংশ কমিটি যৌথভাবে যথাক্রমে জেলা ও থানা কমিটির বিরুদ্ধে অনস্থা আনতে পারবে।
(চ) কেন্দ্রীয় কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য যে কোন দুটি জেলা শাখা বা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, তিনটি থানা শাখা কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটি এক-তৃতীয়াংশ সদস্যকে লিখিতভাবে দাবি জানাতে হবে। উক্ত অনাস্থা প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীকে ২১ দিনের মধ্যে সভা আহ্বান করতে হবে। সভায় উপস্থিত সদস্যবর্গের দুই তৃতীয়াংশ অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানালে, তা গৃহীত হবে বলে বিবেচিত হবে।
(ছ) অনাস্থা প্রস্তাবে যাচাইয়ের কেন্দ্রীয় বিশেষ সভায় ৯ নং ধারায় (ঘ) উপধারা অনুযায়ী প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
২০ নং ধারা: পদত্যাগ:
(ক) কোন কর্মকর্তা বা সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে উক্ত কর্মকর্তা বা সদস্য সংশ্লিষ্ট কমিটির বরাবরে পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন।
(খ) পদত্যাগকারী কর্মকর্তা বা সদস্যের কাছে পরিষদের কোন দলিল বা সম্পদ থাকলে তা তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির নিকট হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকিবেন।
২১ নং ধারা: শূন্য:
পদত্যাগ, বহিষ্কার কোন কারণে যে কোন কমিটির পদ শূন্য হলে সংশ্লিষ্ট কমিটি নতুন কোন সদস্য নিয়োগ অথবা অন্য কোন সদস্যকে উক্ত দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবে।
২২ নং ধারা: নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা:
সংগঠনের যে কোন কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ছাত্র এবং সংগঠনের সদস্য হতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পূর্বে প্রার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে অবশ্যই সমস্ত চাদাঁ বা অন্যান্য দেনা পরিশোদ করতে বাধ্য থাকিবেন।
অষ্টম অধ্যায়
২৩ নং ধারা: নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা:
(ক) শাখা সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির অধিনস্থ কেন্দ্রীয় কমিটি নির্দেশিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের সদা সচেষ্ট থাকবে।
(খ) কেন্দ্রীয় কমিটি যে কোন অধিনস্থ কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং প্রয়োজনবোধে বাতিল ও পূণর্গঠিত করতে পারবে।
২৪ নং ধারা: আয়ের উৎস:
(ক) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আয়ের উৎস হচ্ছে সদস্যদের চাঁদা, পুস্তক-পুস্তিকা ও পত্রিকা প্রকাশনার বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং সংগঠনের কর্মী সমর্থক শুভানুধ্যায়ীদের এককালীন বা বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত সাহায্য।
(খ) এছাড়াও কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ও অনুমোদিত অন্য কোন পদ্ধতিতে তহবিলে অর্থ সংগৃহিত হবে।
২৫ নং ধারা: হিসাব পরিচালনা:
সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক হিসাব পরিচালনা করবেন। তবে যে কোন দু’জনের যুক্ত স্বাক্ষরে টাকা উঠানো যাবে। তারা আয় ব্যয়ের হিসাব দেবেন। গচ্ছিত টাকা লেনদেনের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
২৬ নং ধারা: চাঁদা:
(ক) সংগঠনের মাসিক চাঁদা ২০ টাকা সম্মেলনের পূর্বে সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।
(খ) সদস্যপদের জন্য প্রদত্ত প্রতি সদস্যের ফি ১৫ টাকা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাপ্য।
(গ) আলোচনা সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় তহবিলে শাখাসমূহের অর্থ নির্ধারিত হবে।
নবম অধ্যায়
২৭ নং ধারা: সংশোধনী:
সংগঠনে বার্ষিক সম্মেলনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে ঘোষণাপত্র গঠনতন্ত্র সংশোধন করা যাবে।
২৮ নং ধারা: বিশেষ ধারা:
গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত নয় এমন বিষয় অথবা গঠনতন্ত্রে কোন ধারার ব্যাখ্যা প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবে।
(পিসিপি দশম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে (২১-২২মে, ২০০০-এ অনুষ্ঠিত) সংশোধিত ও পরিমার্জিত করে গৃহীত।)
পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবি নামা:
১. পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
২. জাতিসত্তার প্রতি অবমাননাকর যেকোন বক্তব্য পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে।
৩. পাহাড়ি জাতিসত্তার সঠিক ও সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস সম্ভলিত পুস্তক পার্বত্য চট্টগ্রামের স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. বাংলাদেশের সকল জাতিসত্তার সংক্ষিপ্ত সঠিক তথ্য সম্ভবলিত পরিচিতিমূলক পুস্তক বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
৫. পার্বত্য কোটা বাতিল করে পাহাড়ি কোটা চালু করতে হবে।
রাজনৈতিক সংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবি নামা:
১। সাংবিধানিক গ্যারান্টিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রদান করতে হবে।
২। (ক) পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।
(খ) বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে অন্যত্র সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে।
(গ) বান্দরবানে নতুন সেনানিবাস তৈরির জন্য ৫৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।
৩। (ক) ভারত প্রত্যাগত পাহাড়ি শরণার্থীদের পুনর্বাসন ও স্ব-স্ব জায়গা জমি ফেরত দিতে হবে।
(খ) পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) অভ্যন্তরীণ পাহাড়ি উদ্ভান্তদের পুনর্বাসন করতে হবে।
(ঘ) কাপ্তাই লেকের নির্দিষ্ট জলসীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং চাষের মৌসুমে প্রয়োজনমত পানি করতে হবে।
৪। (ক) সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
(খ) সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(গ) বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিসিএস’সহ অন্যান্য চাকরীর ক্ষেত্রে পাহাড়িদের কোটা বৃদ্ধি করতে হবে।
(ঘ) মেডিক্যাল, বিআইটি ও কৃষি কলেজসমূহের কোটা সেনা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে মেধাক্রমানুসারে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করাতে হবে।
৫। (ক) এযাবৎ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার ও দোষী ব্যাক্তিদের শান্তি দিতে হবে এবং সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
(খ) পার্বত্য আপোষচুক্তির পর এযাবৎ পুলিশ ও জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মী, সমর্থকদের খুনের বিচার ও জেএসএস-এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।
(গ) ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।